চলতি বছর চায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশা
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রতিদিন এক কাপ চা পান করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কাজের পর ক্লান্তি দূর করে শরীরে সজীবতা এনে দিতে চা অপ্রতিদ্বন্দ্বী পানীয়।
দেশের বাজারে দিন দিন চায়ের চাহিদা বাড়ছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত এ পানীয় খুব সহজেই একজন মানুষকে অন্যের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ করে দেয়। এক সময় আমাদের দেশ থেকে চা রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আসতো। কিন্তু চায়ের দেশের বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার তার সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান চা সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে চায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৮ মিলিয়ন কেজি (১০ কোটি ৮০ লাখ)। কিন্তু চায়ের মোট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৯৩ মিলিয়ন কেজি (প্রায় ৯ কোটি ৩ লাখ)। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কমেছে প্রায় এক কোটি ৭৭ লাখ কেজি চা।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট পরিচালক ড. এ.কে.এম. রফিকুল হক জানান, চলতি বছরে চায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি (১০ কোটি ৩০ লাখ)। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমানো হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দেশে মোট ৪৯ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের আগস্টে চায়ের উৎপাদনের ওই পরিসংখ্যান ছিল ৪৯ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি। আমাদের হাতে এখনো ৩ থেকে ৪ মাস রয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
তিনি বলেন, চা বাগানের ‘পিকসিজন’র সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পরিমিত বৃষ্টিপাত এবং প্রয়োজনীয় সূর্যালোকের উপস্থিতি থাকায় প্রতিটি চা বাগানেই ব্যাপক কুঁড়ি এসেছে। যা চা শিল্পের জন্য শুভ বার্তা। এই সময়টাকেই আমরা পিকসিজন বলি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বাগানে চা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। সেগুলো, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার যেমন হাত দিয়ে চা পাতা উত্তোলন না করে প্লাকিং মেশিন (চা পাতা উত্তোলনকারী যন্ত্র) ইউজ (ব্যবহার) করা। অনেক চা বাগানেই এখন এই মেশিনটি ব্যবহার করছে। এরপর চা ফ্যাক্টরি আধুনিকায়নের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা আমরা বলি। এর ফলে চা উৎপাদনের সিওপি (কষ্ট অব প্রডাকশন) কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এ ছাড়া চায়ের গুণাগুণ বৃদ্ধির জন্য আমরা ‘টি টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল কোর্স’ চালু করেছি। এর ফলে চায়ের সাথে জড়িতরা এ কোর্স সম্পন্ন করে চা উৎপাদন এবং বিপণনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন।
