লাইভে হাসিনার প্রশংসা, আইনজীবী ফোরাম থেকে বাদ মুবিন

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জিয়াউর রহমান সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী (১৯৭৮–১৯৮২) ডা. ফজলুর করিমের ছেলে, সদ্য সাবেক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তিনি ফোরামের কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

একই সঙ্গে তাকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।

অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসেন আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দিয়ে। গত বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।”

তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং গণমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ওই লাইভে মুবিন আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়।”

এর আগের দিন মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) একই পেজ থেকে তিনি আরও একটি লাইভে এসে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আমি, অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন, অসাংবিধানিক সরকারের তীব্র বিরোধিতা করছি।”

অ্যাডভোকেট মুবিন দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি জেলা বিএনপির উপদপ্তর সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর তিনি সক্রিয় ভূমিকা হারান এবং পরে ৫ অক্টোবর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল। দেশের স্বপ্ন ও চেতনার ধারক এই দলকেই এখন রক্ষা করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে, তাই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং জনগণের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।”

তবে তিনি কীভাবে বা কার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন—এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “বিএনপিতে এখন মুবিনের কোনো পদ নেই। তার মানসিক অবস্থাও ভালো নয়। কাজেই তার আওয়ামী লীগে যোগদানের কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই।”