আলমডাঙ্গায় ভুয়া ‘এনজিও’র ফাঁদে ২ ঘণ্টায় উধাও ৯০ হাজার টাকা
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

আলমডাঙ্গায় ‘যমুনা এনজিও’ নামে একটি ভুয়া সংস্থা ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে তিনজনের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটি এক দিনের ব্যবধানে টাকা সংগ্রহ করে উধাও হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার আনন্দধাম হারেজ ডাক্তারের বাগানের সামনে মো. মুসার ভাড়া বাড়িতে প্রতারক চক্রটি ‘যমুনা এনজিও’ নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অস্থায়ী অফিস চালু করে। টেবিল-চেয়ার ভাড়া এনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা মাঠে নেমে পড়ে এবং বিভিন্ন গ্রামের লোকজনকে বিদেশে থাকা আত্মীয়দের নামে লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।
প্রতারকরা জানায়, ৩ লাখ টাকার ঋণ পেতে জামানত হিসেবে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। এতে প্রলুব্ধ হয়ে জামজামি উত্তরপাড়া গ্রামের লোকমানের স্ত্রী রাশিদা খাতুন, মামুনের স্ত্রী শাহনাজ খাতুন ও বেলগাছি ইউনিয়নের শাহাবুদ্দিন মোট ৯০ হাজার টাকা দেয়।
গতকাল রোববার দুপুরে ঋণের কাগজ ও টাকা নিতে গেলে দেখা যায়, অফিসে তালা ঝুলছে এবং সাইনবোর্ডটিও নেই। তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরগুলো (০১৯৬৭-৫১১০২৮, ০১৩৩০-৪৪৪৭৯২) তখন থেকে বন্ধ পাওয়া যায়।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী জানান, ‘দুজন লোক এসে এনজিওর কাজের জন্য সাময়িকভাবে একটি রুম ভাড়া নেয়। বলে অফিসার এলে পুরো ভাড়া পরিশোধ করবে। কিন্তু মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই তারা উধাও হয়ে যায়। পরে জানতে পারি, তারা ভুয়া এনজিও খুলে প্রতারণা করেছে।’
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুকমান আলী আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২৫ অক্টোবর সকালে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি এনজিওর পরিচয়ে আমাদের গ্রামে আসে, জামানত হিসেবে টাকা নেয় এবং ২৬ অক্টোবর ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু অফিসে গিয়ে দেখি, সব বন্ধ। তারা প্রতারণা করে আমাদের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
