সিরাজগঞ্জে আখ চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের হাসি
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
এস.এম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে এবার বিভিন্ন জাতের আখ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরোদমে এ আখ মাড়াই শুরু হয়েছে এবং নতুন গুড় বাজারেও উঠেছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।
এসব আখের মধ্যে রয়েছে আইএসডি ৪১, ৪২, ৪৩, ইরি, বোন ও চুষে খাওয়ার আখ এবং বিশেষ করে উচু ও দোআশ জমিতে এ চাষ করেছে কৃষকেরা। কয়েক মাস আগে বিভিন্ন জাতের এসব আখ সংগ্রহ করে (৩ চোখের ডাং) রোপণ করা হয়।
তবে চরাঞ্চলসহ কাজিপুর, বেলকুচি, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশি চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই আখ মাড়াই করে নতুন গুড় বাজারেও উঠেছে। প্রতি ডিমা (৩ পোয়া) গড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শহর-বন্দরসহ বিভিন্ন যানবাহনেও এ আখ বিক্রি হচ্ছে এবং ভ্রাম্যমান ভ্যানের উপর মেশিনে ভাঙ্গানো আখের রসের কদরও কম নয়। প্রতি গ্লাস রস এখন ১৫–২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর এতে যেমন কৃষকেরাও লাভবান হচ্ছে, তেমনি আখ বিক্রেতারাও লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, প্রায় ৩ যুগ আগে এ জেলার অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলের জমিতে নানা জাতের আখ চাষ হতো। এসব আখ মাড়াই করে রস জাল করে গুড় তৈরীর ধুম পড়তো এবং হাট-বাজারে খোলা ও ডিমা গুড় বিক্রি হতো অবাধে। এ চাষে খরচ বাদে লাভের অঙ্কও ভালো ছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে ইরি বোরো চাষে ঝুঁকে পড়ায় আখ চাষাবাদ ক্রমাগতভাবে হ্রাস পায়। তবে প্রায় এক যুগ আগে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকেরা আবারো এ আখ চাষ শুরু করেছে। এ জেলার বিভিন্ন স্থানে লাভজনক আখ চাষের প্রভাবও বাড়ছে। কৃষকেরা জমি ধরে আখও বিক্রি করছে।
বর্তমানে ১ ডিমা (৩ পোয়া) গুড় ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খাঁটি গুড় দেড়শ থেকে ২০০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিনি ও আটা মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করে বিক্রি করাও অসৎ কৃষকদের মধ্যে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এ.কে.এম. মঞ্জুরে মওলা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, লাভজনক এ আখ চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কম খরচে এ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
