নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ছাগল ও ছাগলের ঘর তৈরির উপকরণ বিতরণ

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

  ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২০ জন উপকারভোগী পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে প্রত্যেক পরিবারকে ২টি করে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল ও ছাগলের ঘর তৈরির উপকরণ হিসেবে ২টি করে টিন এবং ৪টি করে আরসিসি সিমেন্টের পিলার (খুঁটি) বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কার্যালয়ের সামনের চত্বরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল মমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ফারুক হোসেন এবং এএসও মো. রিফাত রায়হান আকাশসহ প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগীদের মাঝে ছাগল প্যাকেজের অংশ হিসেবে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বাস্তবায়নে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মার্মি গ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২০টি উপকারভোগী পরিবারের প্রত্যেককে ২টি করে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ও ছাগলের ঘর তৈরির জন্য ২টি করে টিন এবং ৪টি করে সিমেন্টের আরসিসি পিলার (খুঁটি) বিতরণ করা হয়।

উপজেলার এই মার্মি গ্রামে ৪৭৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সাল থেকে বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৪৭টি পরিবারকে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

ছাগল ও ছাগলের ঘর তৈরির উপকরণ নিতে আসা উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপকারভোগী রেবা খাতুন, আশা খাতুন ও তারামনি বিবি বলেন, “আজকে খুব ভালো লাগছে। আমরা এই ছাগল পালন করে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করব।”