জীবননগরে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বর্বরতা হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির রুহুল আমিন বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামী আপসহীন। যার প্রমাণ ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর। সেদিন সারাদেশে জামায়াতের কর্মীরা জীবন উৎসর্গ করেছে ইসলামী আন্দোলন ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য। আমাদের শহীদের শুধু জামায়াতের কাছে নয়, পুরো জাতির কাছে প্রেরণার বাতিঘর।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় জীবননগর মুক্ত মঞ্চে ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সাধারণ জনতার উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের কি পরিকল্পনা ছিল তা পরবর্তী ১৭ বছরে জাতি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা বাংলাদেশকে ভারতের একটি তাবেদার রাজ্য পরিণত করার জন্য সেদিন এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী জামায়াতে ইসলামী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর চূড়ান্ত আঘাত করেছে। তারা চেয়েছিল এ দেশের মাটি থেকে ইসলামী আন্দোলন ও তার নেতৃত্বকে মুছে ফেলার।

তার প্রথম পরিকল্পনা হিসাবে তারা সেই সময় ২৮ অক্টোবরকে বেছে নিয়েছে। তারা সারাদেশে লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শহীদ মুজাহিদ, মাসুম, জসিম, হাবিবুরসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমাদের অফিসগুলো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। একই সাথে বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। পুরো বিশ্ব সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিল।

রাজনীতির নামে এ কোন ধরনের জ্বালাও-পোড়াও নীতি। আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার মসনদ দখল করা। তারা ভারতের প্রেসক্রিপশনে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়ে দেশ ও জাতির ওপর অসভ্য ও বর্বর আঘাত হেনেছে।

উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু বক্করের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট আদুজ্জামান, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সাগর আহম্মেদ, জেলা তালিমুল কুরআন বিভাগের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক জিয়াউল হক, জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা ইসরাইল হোসেন, জেলা মাজিলিসুল মুফাসসিরিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি এমদাদুল্লাহ মহসিন, নায়েবে আমীর হাফেজ বিল্লাল হোসেন, সহকারী সেক্রেটারী সাইদুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক আশাবুল হক মল্লিক, উপজেলা আইটি সম্পাদক হারুন অর রশীদ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি কামাল হোসেন, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, যুবনেতা আব্দুল মোতালেব, পৌর যুব বিভাগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার, সালাউদ্দীন আহম্মদ, জামায়াত নেতা ফজলুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী সহ প্রমুখ।