ফরিদগঞ্জে জুয়েলার্সে চুরি: স্বর্ণ ও নগদ টাকাসহ আটক ২

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মা জুয়েলার্স দোকানে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় মূল আসামি কামাল পারভেজ মিলন (৪৬) ও তার সহযোগী মো. খলিল মৃধাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৫ লাখ টাকা এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. লুৎফুর রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তার কামাল পারভেজ মিলন সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার ফিরোজপুর গ্রামের ইসমাইল সরদারের ছেলে। তিনি খুলনা সদরের নিরালা আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। অপর আসামি খলিল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের নেছার উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি থাকেন চাঁদপুর সদরের এনায়েতনগর শেখেরহাট আশ্রয় প্রকল্প এলাকায়।

ফরিদগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর রাতের কোনো এক সময় উপজেলার থানা মোড় এলাকার মা জুয়েলার্স দোকানে চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা চোরেরা দোকানের ক্যাশবক্সের তালা ভেঙে ২৫ হাজার টাকা এবং সিন্দুক ভেঙে ২৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ যার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা এবং ৩৫ ভরি রূপা যার মূল্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় ব্যবসায়ী মন্টু কর্মকার ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পান থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

তিনি ওসি মো. শাহ আলমের তত্ত্বাবধানে প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে খুলনার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে মূল আসামি পারভেজকে গ্রেপ্তার করেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একই দিন ভোরে চাঁদপুর সদর উপজেলার এনায়েতনগর থেকে সহযোগী খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, পারভেজের স্বীকারোক্তিতে তার ভাড়া বাসা থেকে ৭ ভরি ১ আনা ১ রতি স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ফোন ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

পারভেজ জানান, চুরি করা ২৪ ভরি স্বর্ণের মধ্যে ১২ ভরি ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন এবং সেখান থেকে সহযোগী খলিলকে ৫ লাখ টাকা দেন। পুলিশ খলিলের কাছ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করেছে।

তিনি আরও জানান, কামাল পারভেজ মিলন আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ সাতটি মামলা রয়েছে। অপর আসামি খলিলের বিরুদ্ধেও দুটি সিআর মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।