‘ভালো ফলন পেতে হলে কৃষকদের ভালো বীজ দিতে হবে’

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে বার্ষিক পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে এ এস এম কামাল উদ্দিন মেমোরিয়াল হলে এই কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবায়ের হোসেন বাবলূ।

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদীর মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা স্টেশন ঈশ্বরদীর পরিচালক ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার এবং কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদীর অধ্যক্ষ মো. মতলুবর রহমান।

প্রধান অতিথি বলেন, ভালো ফলন পেতে হলে কৃষকদের মাঝে ভালো বীজ প্রদান করতে হবে। আমরা দেখতাম বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্যা বা ঝড়ো বাতাস ঘূর্ণিঝড় অন্যান্য ফসল যেখানে ক্ষতি হওয়ার মাধ্যমে আমাদের কৃষকদেরকে একেবারে পথে বসাতো। আখ এমন একটি ফসল যেটা বীমা ফসলের মতো আমাদের কৃষকদের পাশে কিন্তু সব সময়ই সহায়তা করে এসেছে। নতুন নতুন ফসল এসেছে এর সাথে কমপিটিশনে আমাদেরকে আরো একটু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন করেছে, তার পরেও আমাদের দেশে যেখানে অন্য কোনো ফসল ভালোভাবে আবাদ করা সম্ভব হবে না প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলা করে আখের ফসল ফলানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে প্রথমে কৃষকদের সম্মান জানাতে হবে। কৃষক জমিতে ফসল ফলায় বলেই স্বল্পমূল্যে আমরা কৃষিপণ্য পেয়ে থাকি। বিদেশ থেকে কৃষি পণ্য আমদানি করলে আমাদের দেশের অর্থের ব্যাপক ক্ষতি হতো। কৃষক যদি লাভবান না হয় তাহলে ওই ফসল কৃষক তার জমিতে রোপণ করবেন না। আখের সাথে অনেক কৃষক সাথি ফসল উৎপাদন করছেন। আখের সাথে সাথি ফসল উৎপাদন করায় উভয় ফলন বৃদ্ধি হয়েছে। মুড়ি আখে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। মুড়ি আখ বেশি চাষাবাদ হলে নির্ধারিত সময়ের আগে মিল চালু করা সম্ভব হবে। সেই সাথে মাঠে লাগানো লেট ভ্যারাইটি আখ কৃষক কেটে মিলে দিতে পারবে। বাজারে চিবিয়ে খাওয়া আখের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনাদেরকে চিবিয়ে খাওয়া আখ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক গবেষণা ড. আতাউর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক টিওটি ড. সেলিনা আক্তার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরগণ।