৫ দফা দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাঁচ দফা দাবিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিশাল গণসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
রোববার (২ নভেম্বর) বাদ জোহর থেকে মাগরিব পর্যন্ত পাট বাজারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই) সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জুলাই সনদ ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (PR) পদ্ধতিতেই নির্বাচন হতে হবে।
সমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে। সেগুলো হল— জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক PR (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন নিশ্চিত করা, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, গণহত্যার বিচার এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মুফতী হাবিবুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সেক্রেটারি মাও. সাঈদুর রহমান সাঈদ-এর সঞ্চালনায় সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, “একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। প্রশাসনকে অবশ্যই দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মাদ মারুফ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ জেলা উত্তরের সভাপতি আলহাজ্ব হাদিউল ইসলাম এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক উবায়দুলাহ মাহমুদ। এছাড়া, সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার আমির মঞ্জুরুল হোক।
বক্তারা অবিলম্বে এই ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সমাবেশে অংশ নেওয়ায় পাট বাজার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
