টেকনাফে ব্রিজের নিচ থেকে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২১ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার অফিস

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার একটি ব্রিজের নিচ থেকে মোহাম্মদ ইউনুস সিকদার নামের এক সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস সিকদার মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন বলে পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার একটি ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর।
নিহত মোহাম্মদ ইউনুস সিকদার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলিপাড়ার মৃত হাজী মোহাম্মদ কাসেমের ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন এবং আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি।
ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় একজন পুরুষের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পানি থেকে তুলে সনাক্ত করেন যে তিনি মোহাম্মদ ইউনুস সিকদার। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ওসি জানান, নিহতের স্বজন, এলাকার লোকজন এবং রাজনৈতিক নেতাদের দেয়া তথ্য মতে, কোনো ধরনের লেনদেন সংক্রান্ত পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এই হত্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান, জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা এবং অন্যান্য আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
টেকনাফ পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, “আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারকে কমিটির কথা বলে রঙ্গিখালী মো. আলম সবুর মিয়ার আমন্ত্রণে মঙ্গলবার রাতে ওখানে যান। সবুর মিয়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। এরপর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ব্রিজের নিচে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার পর সবুর মিয়া পালাতক রয়েছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রঙ্গিখালী এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি জানান, মোহাম্মদ ইউনুছ প্রায়শই সবুর মিয়ার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। সবুর মিয়া, আবছার উদ্দিন, আনোয়ার হোসাইন ওরফে লেটাইয়্যা, মিজানুর রহমান ওরফে বাড়ু মিজানসহ কয়েকজন মিলে এলাকার দোকানে আড্ডা দিতেন। গত কয়েকদিন ধরে ইয়াবা সংক্রান্ত পাওনা টাকার বিরোধের জের ধরে এদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে সবুর মিয়ার বাড়িতে ইউনুছকে আটকে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। এরপর মারা যাওয়ার পর মরদেহ ব্রিজের নিচে রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে সবুর মিয়া ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, পাওনা টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কী লেনদেনের টাকা তা জানা যায়নি। যাদের নাম বলা হচ্ছে তাদের ধরতে চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
