জীবননগরে বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে ফেইসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার এবং গুজবের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বন্দর মাঠে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গনির সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঈন উদ্দিন ময়েন, সীমন্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দিন বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী, দুই নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং জনপ্রিয় দল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির এই ভালো অবস্থান ও দলের সুনাম নষ্ট করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি।
তারা বলেন, সম্প্রতি গোয়ালপাড়ার ৫ জনকে অপহরণ নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনউদ্দিন ময়েন ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খোকন খাঁন-কে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তবে আপনারা লক্ষ্য করবেন, উদ্ধার হওয়ার পর সাধারণ কৃষক স্বপন আলীসহ আরও দুজন জানিয়েছেন, তাদের অপহরণের সঙ্গে আব্দুল মজিদ, শাহিন, সাইফুল, রুহুল ও লালন। যারা অপহরণ করেছে তারা সবাই যশোর এলাকার ভারতীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লোক। জীবননগরের আর কেউ অপহরণের সঙ্গে ছিল না। একই কথা জানিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। তারপরও জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন ময়েনসহ বিএনপি নেতাদের নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, আপনারা অপহরণ হওয়া ব্যক্তি ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বললে জানতে পারবেন, মঈন উদ্দীন ময়েন অপহরণের ঘটনার ২-৩ দিন পর অপহৃত একজনের আত্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে তাদের অনুরোধে গোয়ালপাড়া গ্রামে যান। পরে আব্দুল মজিদসহ অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে বিষয়টি সমাধান করতে না পারায় তিনি প্রশাসনের দারস্ত হওয়ার জন্য বলেন। এ ঘটনার সঙ্গে এর বাইরে তার কোনো সম্পৃক্তাতা নেই। তিনি উপকার করতে গিয়ে নানা মিথ্যা অপবাদের শিকার হচ্ছেন। আমরা এই মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বিষয়টি আরও তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
