দিনাজপুরে হিমাগারে আলু রাখতে গিয়ে লোকসানে কৃষক-ব্যবসায়ীরা
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০২ | অনলাইন সংস্করণ
সিদ্দিক হোসেন, দিনাজপুর

মৌসুমের শুরুতে হিমাগারে আলু রেখে এখন বড় লোকসানের মুখে দিনাজপুরের ১৪টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণে রাখা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। হিমাগারে আলুর জাতভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। অথচ উৎপাদন থেকে শুরু করে সংরক্ষণ পর্যন্ত খরচ পড়েছে কেজিতে প্রায় ২১ থেকে ২২ টাকা। ফলে কেজিপ্রতি প্রায় ৫-৭ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। বস্তাপ্রতি (৬০ কেজি) লোকসান দাঁড়াচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
প্রান্তিক চাষিরা খুচরা বাজারে কিছু কিছু আলু বিক্রি করা শুরু করেছে। বাজারে বর্তমানে আলুর চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু উত্তোলন করতে দেখা যাচ্ছে। শ্রমিকরা আলু বাছাই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লোকসান হওয়া সত্ত্বেও হিমাগার থেকে আলু উত্তোলন করছেন।
অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকরা আলু চাষাবাদ করতে পারেননি। তাই বর্তমান আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আলু চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার যদি নেক নজর দিতো তাহলে আমরা বিপদ থেকে উদ্ধার হতাম। সরকার মাঝখানে আলুর রেট বেধে দিলেও পরে কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
দিনাজপুর জেলায় মোট ১৪টি হিমাগার রয়েছে। ইতিমধ্যে অর্ধেকের বেশি আলু হিমাগার থেকে বের হয়ে গেছে। নভেম্বর মাসের মধ্যেই বাকি আলুগুলো বের হবে বলে বীরগঞ্জ হিমাদ্রি লিমিটেডের ম্যানেজার মোঃ নূরনবী জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের কাছে আলু ক্রয় সংক্রান্ত কোনো নোটিশ আসেনি। আসলে জানানো হবে। ইতিমধ্যে আগাম জাতের ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৪৭,২৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ আলু হিমাগারে রেখেছেন বিভিন্ন কোম্পানি; নভেম্বর মাসের মধ্যেই হিমাগার থেকে সব ধরনের আলু বের হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
