পাথরঘাটায় ধরা পড়লো বিপন্ন প্রজাতির মাছ, আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

দশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য বন্দর বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে বিপন্ন প্রজাতির কাল বাইন মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে এফবি আল্লাহ ভরসা নামের একটি ট্রলার। প্রতিমন ২৮ হাজার টাকায়, নয় মন মাছ আড়াই লাখ টাকায় ক্রয় করেন মৎস্য পাইকার জাকির হোসেন।
রোববার সকালে (১৬ নভেম্বর) এ বিপন্ন প্রজাতির বাইন মাছগুলো বিক্রি করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, গত ১০ দিন আগে পাথরঘাটার বাচ্চু গাজীর মালিকানাধীন এফবি আল্লাহ ভরসা ট্রলারটি বাজার সওদা করে গভীর সমুদ্রে বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে যায়। সেখানে বড়শি দিয়ে গত ১০ দিনে নয় মন কাল বাইন মাছ ধরেন তারা।
ট্রলারের মাঝি বাবুল মিয়া জানান, আট থেকে ১০ জন জেলেকে নিয়ে মাছ শিকার করতে যান তিনিসহ তার জেলেরা। সেখানে বড়শি পেতে অপেক্ষা করার পর বাইন মাছগুলো তাদের বড়শিতে ধরা পড়ে। অন্য মাছের চেয়ে এ বাইন মাছের দাম একটু বেশি হওয়ায় খুশি তারা।
পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাটের পাইকার জাকির হোসেন মাছগুলো ক্রয় করেন।
পাইকার জাকির হোসেনের আরদের ম্যানেজার মো. রাসেল মিয়া বলেন, “এফবি আল্লাহ ভরসা ট্রলারের মালিক বাচ্চু গাজীর কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা মন দরে নয় মন মাছ ক্রয় করেছি। পাথরঘাটায় এর চাহিদা না থাকলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা যে মাছগুলো ক্রয় করেছি, ধারণা করছি আরও বেশি দামে এগুলো বিক্রি করতে পারব।”
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “এ মাছগুলো এক সময় বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে অহরহ দেখা যেত এবং চাহিদাও ছিল অনেক। আস্তে আস্তে এ মাছগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শীতের শুরু থেকেই গভীর সমুদ্রে থেকে জেলেরা বাইন মাছগুলো শিকার করে নিয়ে আসতো। বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে কিছু অসাধু ট্রলার মালিক, জেলে এবং কাঠের তৈরি অবৈধ ট্রোলিং ট্রলার জড়িত রয়েছে। তারা সকল রকমের মাছের পোনা নির্বিচারে ধ্বংস করে থাকে। এ ধ্বংসের কারণে আজ মাছগুলো বিলুপ্তির পথে।”
তিনি আরও বলেন, “অসাধু জেলেদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারলে দিনদিন আবার গভীর সাগরে এ মাছের দেখা মিলবে।”
