জীবননগর থানার ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার, সুশীল সমাজের নিন্দা

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন বিশ্বাস-এর বিরুদ্ধে এক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ, মনোবল ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে, স্বর্ণ পাচারের পথে একটি চালান হারিয়ে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরে ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। কয়েকজনকে আটক রেখে চাপপ্রয়োগের ঘটনাও ঘটে। পুলিশের দ্রুত অভিযানে আটক ব্যক্তিরা নিরাপদে উদ্ধার হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। আর সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করে সরেজমিনে না গিয়ে বিনা তদন্তে ঢালাওভাবে ওসি মামুন বিশ্বাসকে নিয়ে একতরফা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন রিপোর্ট প্রচার করা হয়। সেই ভুয়া রিপোর্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

স্থানীয় সুশীল সমাজ, সাংবাদিক মহল ও সচেতন নাগরিকরা এই ঘটনাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচার বলে আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ওসি মামুন বিশ্বাস একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জীবননগরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে জীবননগর থানাধীন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে, সাধারণ মানুষও এখন নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশ অনুভব করছেন।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আরও বলেন, এমন একজন কর্মকর্তাকে কলঙ্কিত করতে অপপ্রচার চালানো অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাই করে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

একই সঙ্গে তারা সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টির এই অপচেষ্টার রহস্য উদ্ঘাটন ও মূল প্ররোচনাকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন বিশ্বাস বলেন, “সত্যনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালনের পরও যদি পুলিশের বিরুদ্ধে এভাবে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশিত হয়, তাহলে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন।”

ওসি আরও বলেন, এই মিথ্যা সংবাদ প্রচারের পর স্থানীয় মূলধারার সাংবাদিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা ও সুশীল সমাজের অনেকেই আমার সাথে দেখা করেছেন এবং তারা থানা পরিচালনা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন ওসি।