বেতন কাঠামোসহ ৫ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মচারীদের আন্দোলন
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের আহ্বানে ৫ দফা দাবি আদায়ে গতকাল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের শহরের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে।
এতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মো. মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী হাফিজুল ইসলাম নাছুরের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক আরশাদুল ইসলাম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন কালেক্টরেট নন-গেজেট কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম ভূইয়া, সংগঠনের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন সফিক, আবু কাউছার, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ আশরাফ আহমেদ, সমাজসেবা কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, মেডিকেল টেকনোলজিস্টের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারী সভাপতি আমির হামজা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী সভাপতি মোঃ মনির, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মচারী সভাপতি এবং জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি হাজী মোঃ আব্দুল্লাহ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল মোমেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী সভাপতি মোঃ ইসমাইল, ১৭-২০ গ্রেড সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই কর্মচারীগণ নতুন পে-স্কেলের দাবি জানান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি এবং ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর করতে হবে, না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।
পাশাপাশি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহালসহ সচিবালয়ের মতো এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, জাতীয় সার্ভিস কমিশন গঠন, আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিল, পূর্বের শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগ, ন্যায্যমূল্যের মানসম্মত রেশন প্রদান, ব্লকপোস্টসমূহে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।
আইএলও সনদের ৮৭ ও ৯৮ ধারা মোতাবেক সকল সরকারি দপ্তরে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দিতে হবে।
