চুয়াডাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবক খুন, প্রধান আসামি আটক

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার পৌর এলাকার বেলগাছী গ্রামের খরার মাঠ নামক স্থানে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোহেল (২৫) নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেলগাছী বকচরপাড়া গ্রামের আসাবুল হকের ছেলে এবং তিনি একজন কৃষক ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বেলগাছী এলাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল ঘাতক ফারুককে আটক করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে সোহেল বাড়ির বাইরে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে কোথাও পাননি।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে কৃষকরা কৃষি কাজ করার জন্য মাঠে যাচ্ছিল।

এ সময় পার্শ্ববর্তী খরার মাঠের পিয়ারা বাগানের পাশের ভুট্টা খেতে গলাকাটা লাশ দেখতে পান এবং চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের খবর দেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন।

স্থানীয়রা বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতা ও পূর্ব বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে তদন্তে প্রকৃত কারণ উদঘাটন হবে বলে মনে করছেন তারা।

নিহতের বাবা আসাবুল হক জানান, স্থানীয় তাহের বাঙালের ছেলে ফারুকের সঙ্গে এক সপ্তাহ আগে পিয়ারা বাগানের একটি পিয়ারা গাছের ডাল ভাঙা ও পিয়ারা খাওয়া নিয়ে সোহেলের দ্বন্দ্ব হয়। এরই জের ধরে ফারুক ও তার সহযোগীরা সোহেলকে কুপিয়ে জখম করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। আসাবুল হকের দাবি, এ কারণেই ফারুক তার ছেলেকে হত্যা করেছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জামাল আল নাসের জানান, বেলগাছীতে সোহেল নামের এক যুবক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আমরা মূল ঘাতক ফারুককে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।