বীরগঞ্জে পাক হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

বীরগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় পাক হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রথম শত্রুমুক্ত হয় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বাঘডাঙ্গা) নামক স্থানে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ মহসীন আলী ও শহীদ বুধারুর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যা ভারপ্রাপ্ত বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর বর্মনের নেতৃত্বে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালির পরে বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দীপঙ্কর বর্মনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কবিরুল ইসলাম, আলহাজ্ব বশির উদ্দিন, মো. আব্দুল আজিজ, বীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার আলিশ শাহ, বীরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিক হোসেন, দিনাজপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এনসিপি বীরগঞ্জ উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু বক্কর সুমন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মো. মমিনুল ইসলাম, বীরগঞ্জ ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষার্থী অরিন আহমেদ সরকারসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তির উল্লাসে মেতেছিল বীরগঞ্জ। এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পিছু হটিয়ে বীরগঞ্জকে হানাদার মুক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা মুক্ত বাতাসে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৬ নম্বর সেক্টরের ফিল্ড কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) এম মাসুদুর রহমান বীরপ্রতীক এবং এফএফ কমান্ডার একেএম মাহবুব উল আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে।
মুক্তিযুদ্ধে ভাতগাঁও ব্রিজ ও সুজালপুর ইউনিয়নের মদনপুরে সম্মুখযুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
