রাঙামাটিতে নতুন পর্যটন আকর্ষণ: ‘সওজের লেকভিউ’
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২০ | অনলাইন সংস্করণ
চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙামাটি

রাঙামাটি ফিসারী বাঁধে ‘সওজের লেকভিউ’ পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। রাঙামাটি শহরের ফিসারী সংযোগ বাঁধের পাশে পর্যটন সম্ভাবনার এক নতুন নান্দনিক রূপ দিয়ে স্থানটি সাজিয়েছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা দৃষ্টিনন্দন ‘সওজের লেকভিউ গার্ডেন’ পরিকল্পিত ও দৃশ্যমান। ইতোমধ্যে পর্যটক ও স্থানীয়দের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পর্যটক মৌসুমে নান্দনিক সৌন্দর্যের মুগ্ধতা ছড়িয়ে এই লেকভিউ গার্ডেন ভ্রমণপিপাসু মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে।
আধুনিক স্থাপনা ও বিভিন্ন জাতের ফুল এবং গাছ রোপণ করায় স্থানটি আরও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। সবুজ নির্মিত গ্যালারি ও বেঞ্চ দিয়ে কাপ্তাই হ্রদের মনোরম দৃশ্য উপভোগের জন্য এটি চমৎকার জায়গা হিসেবে পরিচিত।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিকল্পনায় অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন বাগানটি পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে লেকভিউ পার্কে ঘুরতে আসে।
নতুন নির্মিত ওয়াকওয়ে দিয়ে সকাল-বিকালে দলে দলে নারী-পুরুষ হাটার সময়ে কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা যায়। এমনিতেই রাঙামাটিতে পর্যটকদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র তেমন নেই। ফুরমোন পাহাড়ে ক্যাবল স্থাপন করলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়ে পর্যটন শিল্পকে আরও দৃষ্টিনন্দন করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে স্থানীয় ভ্রমণপিপাসু ও সাংবাদিকদের সঙ্গে site-পরিদর্শন করে পরিকল্পনা করেন নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা। প্রকল্পটি মূলত নদী ভাঙনের প্রতিরোধের উপর ভিত্তি করে বাস্তবায়িত হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের ভাঙন রোধে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ফিসারী সংযোগ বাঁধ। সংযোগ সড়কের একপাশে বিস্তৃত জায়গা দৃশ্যমান।
রাঙামাটিতে যত্রতত্র অবৈধ দখলদারও বেশি। যেমন, সনাতন ধর্মের প্রার্থনার জন্য সংযোগ সড়কের মাঝখানে কর্ণারে অবৈধ দখল তৈরি হয়েছে। যাতে এই ধরনের অবৈধ দখল না ঘটে, সওজ তাদের নিজস্ব মেইন্টেনেন্স ফান্ড থেকে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ইতোমধ্যে সড়ক বাঁধটি নতুন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। অভিজ্ঞ মহল জানায়, পাহাড়ে পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল করতে হলে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন করা জরুরি।
