সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ সড়কের বেহালাবস্থা, জনদুর্ভোগ চরমে

সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে বেহালাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত ও খানাখন্দের। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের এমন অবস্থা হলেও কর্তৃপক্ষের নজর না দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহানোর অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়কটি সিরাজগঞ্জ-বগুড়া পুরাতন সড়ক নামে পরিচিত। তবে ৮০- দশকের পর থেকে এই সড়ক সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ সড়ক নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এ সড়ক দিয়ে সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে প্রতিদিন। এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের রায়গঞ্জ উপজেলার চকনুর বাজার, পাঙ্গাসী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আলমপুরসহ বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জে যোগাযোগের একমাত্র পথ এই আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়ক দিয়ে কৃষি পণ্য সরবরাহ, শিক্ষার্থী ও হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। অথচ এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১ ঘন্টার রাস্তায় এখন প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগে। অবশ্য কয়েক মাস আগে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও খানাখন্দ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু এ মেরামত কাজে আসেনি বরং আরো খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চকনুর বাজার এলাকায় ধসে যাওয়া স্থানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ গর্তের নিচে বালুর বস্তা, ইট এবং পাথর ফেলে রাস্তা মেরামত করা হলেও তা ঝুঁকিমুক্ত নয়। ইতোমধ্যেই অনেক ছোটোখাটো যানবাহন-এ গর্তে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এবং ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা আশংকা করছে অনেকেই। সড়কের নিচে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সংস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জনদুর্ভোগ এড়াতে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান সুমেল আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ আঞ্চলিক সড়কের খানাখন্দ ও গর্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দুই লেনে উন্নীতকরণে একনেকে ২৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। সরকারি বিধিমতে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এ দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ শুরু করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।