হাদিকে গুপ্ত নিষিদ্ধবাহিনী হামলা করেছে: নোয়াখালীতে শিবির সেক্রেটারি
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, হাদিকে গুপ্ত বাহিনী বা নিষিদ্ধ বাহিনী হামলা করেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বরে ৭ শহীদকে স্মরণ করে কোম্পানীগঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাদ্দাম বলেন, “শরিফ ওসমান হাদি, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সেনা নায়ক ও আপোষহীন নেতা, আজীবন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি আমাকে বারবার জানাতেন যে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা বারবার তাকে সাবধান থাকার জন্য বলতাম। তিনি বলতেন, মওতের ফয়সালা আসমানে হয়, আমি যদি ঘরের ভেতরও থাকি, তবুও মারা যাব।”
তিনি আরও বলেন, “উদয় অথবা অস্তের কোনো ক্লান্তি আমাদের দুর্বল করতে পারবে না। আমাদের শাহাদাতের তামান্না আমাদের রক্তের ধমনীতে প্রবাহিত হয়। যারা মনে করেন Islami Chhatra Shibirকে গুম, খুন, হত্যা বা নির্বাসনের মাধ্যমে বন্ধ করতে পারবেন, তারা দেখে নিন। কোম্পানীগঞ্জবাসী ও সারা বাংলাদেশ জানুক, আমরা হুশিয়ার করে বলছি—যাদের বাতিল কাজ সোজা না হয়।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা দক্ষিণের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুহাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতে আমীর ইসহাক খন্দকার।
এছাড়া কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক আনিসুর রহমান, কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক এইচ এম আবু মুসা, কেন্দ্রীয় কার্যকারী পরিষদ সদস্য ও নোয়াখালী শহরের সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান, নোয়াখালী জেলা উত্তরের সভাপতি দাউদ ইসলাম, নোয়াখালী-৫ আসনের জামায়াত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা বেলায়েত হোসেন, বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমীর মোশাররফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে কোম্পানীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র ও যুবক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ শিবিরকর্মী নিহত হন।
তারা হলেন আব্দুস সাত্তার, সাইফুল ইসলাম, মতিউর রহমান সজিব, আব্দুর নুর রাসেল, আব্দুল আজিজ রায়হান, সাইফুল ইসলাম ও মো. মিশু।
