নীলফামারীতে রায়ের পরও ৪’শ কলাগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে আদালত থেকে জমির মালিকানা পেলেও জমি দখলের পায়তারা করছে প্রতিপক্ষ। নিজস্ব জমিতে লাগানো প্রায় চার’শ কলাগাছ উপড়ে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নীলফামারী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি সরকারপাড়া এলাকার শ্যামল চন্দ্র সরকার। তিনি দ্বীজেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একই এলাকার জেএল নং ২৬, সিএস খতিয়ান নং ২৬২, এসএ খতিয়ান নং ১৯৯, বিএস খতিয়ান নং ৬৫৫/১, এসএ দাগ নং ৬৬৫৩ ও ৬৬৫০ এবং বিএস দাগ নং ৯০৪৬ ও ৯০৩৯-এ ৩২ শতক জমির মালিক লিপি রানী সরকার।
এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ দুলাল চন্দ্র শীল গংদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা হলে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, নীলফামারী থেকে লিপি রানী সরকারের পক্ষে রায় ও ডিক্রি প্রদান করা হয় (মামলা নং- ৬৮/২০২১ ইং)। আদালত থেকে রায় পাওয়ার পর নিজস্ব জমিতে কলাগাছ রোপণ করা হয়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রতিপক্ষ দুলাল চন্দ্র শীলসহ আরও কয়েকজন মিলে প্রায় ৪’শ কলাগাছ উপড়ে ফেলে নষ্ট করে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। খবর পেয়ে লিপি রানীর ভাই শ্যামল চন্দ্র সরকার কলা ক্ষেতে গেলে প্রতিপক্ষ স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীর উপস্থিতিতে এবং দুলাল চন্দ্র শীল, শান্ত শীল, সাগর শীল, নির্মল চন্দ্র সরকার, হিমাংশু চন্দ্র সরকার ও সুধাংশু সরকারের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন অকথ্য গালিগালাজ, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার হুমকি দেয়।
শ্যামল চন্দ্র সরকার অভিযোগ করে বলেন, মহামান্য আদালত থেকে রায় পেয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই জমিতে চাষাবাদ শুরু করি।
কিন্তু প্রতিপক্ষরা আদালতের রায় উপেক্ষা করে তাদের জমি দাবি করে বল প্রয়োগ করছে, যা বেআইনি। জমি নিয়ে আমরা চরম শঙ্কায় রয়েছি। প্রতিপক্ষরা যেকোনো সময় আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। মুঠোফোনে বিভিন্ন সময় আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমি নীলফামারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
প্রতিবেশী মৃত খগেন্দ্রনাথ রায়ের পুত্র প্রকাশ রায়, রফিকুল ইসলামের পুত্র মো. লিটন আলী ও মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র রবিউল ইসলাম জানান, দুলাল চন্দ্র শীলসহ আরও অনেকে কলাগাছ উপড়ে ফেলে নষ্ট করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুলাল চন্দ্র শীল বলেন, আমি আমার জমি দখল করেছি। কার্তিক চন্দ্রের জমির সঙ্গে তাদের (লিপি রানী সরকার) জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। আদালতে আমার কোনো মামলা নেই।
লক্ষীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রব্বানী জানান, এখানে ব্যাপার রয়েছে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।
জানতে চাইলে নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, দুই পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
