পরকীয়ার জেরে তুলে এনে নারায়ণগঞ্জে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে রাজবাড়ি জেলা থেকে আবরার খান নামে এক রং মিস্ত্রীকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নিয়ে হত্যা করার পর মাথা বিচ্ছিন্ন করে লাশ গুমের চেষ্টার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তারসহ নিহতের বিচ্ছিন্নকৃত মাথা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ।

এর আগে, গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার শ্রীনিবাসদী এলাকায় বালুর মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে মাথাবিহীন এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে জেলা পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন টিম নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রং মিস্ত্রী আবরার খানের লাশ বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ওয়াজেদ আলী খান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।

পিবিআই জানায়, মামলা দায়েরের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জেলা শাখা। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রুহুল আমিন রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে উদ্ধার করা হয় নিহত আবরারের বিচ্ছিন্ন মাথা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন রং মিস্ত্রী আবরাহাম খান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বোনের সঙ্গে শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয় তার। এরপর থেকে আবরারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিন রাব্বি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিবাহিতা খালার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় রাব্বির পরিবারের আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পিবিআই নিশ্চিত হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান পিবিআই পুলিশ সুপার।