চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে তীব্র শীত, জনজীবনে প্রভাব

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ

  শরীফ উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা

হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশা, জনজীবনে এখন শীতের দাপট স্পষ্ট। দিন ও রাতে তাপমাত্রা প্রায় সমান হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, উত্তরের হিমেল বাতাস, ঘন কুয়াশা ও তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় সমান হওয়ার কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ মৌসুমে দুদিনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে দেড় ডিগ্রি তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। শুক্রবার দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ কিছুটা মেঘলা রয়েছে। শনিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি।

এদিকে, হাসপাতালগুলোতেও বাড়তে শুরু করেছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শিশুরা বেশি ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশিরভাগ শিশু। শয্যার তুলনায় হাসপাতালগুলোতে বেশি রোগী ভর্তি থাকায় বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে শীতের মধ্যে।

অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সসহ দায়িত্বরতদের। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ১৫০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ঠান্ডার প্রভাবে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতিও তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় হঠাৎ করে শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস বইছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, দুদিন চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ছে। এই ঠান্ডায় রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। বাচ্চাদের গরম কাপড় পরিধান করাতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগের রোগীর চাপ অনেক বেশি।