অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের কলেজছাত্র নিহত, গ্রেপ্তার ৩

ইটালিতে অবৈধভাবে যাওয়ার পথে ভুমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কলেজ ছাত্র রাকিব হোসেন স্বাধীনের (২৩) নিহত হয়েছে। তাকে হত্যা করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, দালাল আবুল কালাম আজাদ (৫৫), তার মেয়ে সোনিয়া (২৬) এবং মোন্নাফ হোসেন (৪০)।

উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি নুরে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, অভিযুক্ত দালালের বড় ছেলে সাদ্দাম আগে থেকেই ইতালিতে থাকে। এরমধ্যে তার ছোট ছেলে জাকারিয়ার সঙ্গে ওই উপজেলার ভুতগাছা গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ফিরোজের ছেলে স্বাধীনকে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেয়।

ওই দুই মেয়ের জামাই (ঢাকায় অবস্থানরত) উল্লাপাড়ার বন্যাকান্দি গ্রামের ইউনুস আলী ও মধ্যবড়হর গ্রামের মোন্নাফ আলী সঙ্গে কথা বলে ওই কলেজ ছাত্রর বাবাকে ২৫ লাখ টাকা দেন।

গত ২২ মে, দালালের ছেলে জাকারিয়া স্বাধীনকে নিয়ে ইতালি যাওয়ার জন্য বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। তারা প্রথমে ভারতের চেন্নাই ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশ দিয়ে লিবিয়া নিয়ে যায় স্বাধীনকে।

এরমধ্যে কলেজ ছাত্র স্বাধীন আটক হয়ে কারাগারে আছে। এ কথা বলে ২ দফায় আরো ১০ লাখ টাকা নেওয়া হয় এবং শ্রীলঙ্কায় পৌঁছার পর তাদের ২ জনকে আলাদা করে দেওয়া হয়।

গত ১২ নভেম্বর, ১২২ জনকে একটি ট্রলারে করে ওই সাগর পথে ইতালি পাঠানোর সময় ট্রলারটি আংশিক ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৯৭ জনকে মারধরের পর হত্যা করে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া মাদারীপুরের ৭ জন গত বৃহস্প্রতিবার দেশে ফিরে আসে এবং ওই দিন বিমানবন্দরে গিয়ে তাদের কাছ থেকে স্বাধীন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হয় তার পরিবারের লোকজন।

এই ঘটনার শনিবার বিকেলে দালাল কালামকে আটক করে স্বজনেরা। তাকে পুলিশ সোপর্দ করা হয় এবং এ অভিযোগে ওইদিন রাতেই নারীসহ আরো ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মানব পাচার আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।