টানা ৩ দিনের তীব্র শীতে কাঁপছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, স্থবির জনজীবন

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটানা তিন দিন ধরে তীব্র শীতে কাঁপছে সীমান্তঘেঁষা জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার দাপটে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে, গত শুক্রবার চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ টিম (বিডব্লিউওটি)।

রোববার ভোররাত থেকে শীতল হাওয়া বইতে থাকলেও শুরুতে কুয়াশা ছিল না। তবে সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে কুয়াশার ঘনত্ব, যা সকাল ৮টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। বেলা বাড়লেও দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি সারাদিন।

দিনভর হিমেল হাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রিকশাচালক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে কনকনে ঠান্ডায় মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছে। যাত্রী না থাকায় আয়-রোজগার কমে গেছে। তবে দুপুরের পর রাস্তায় মানুষের আনাগোনা বাড়লে কিছু ভাড়া পাওয়া গেছে।

শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন পদ্মা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল ও পাড়ের বাসিন্দারা। শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো কম্বল বা শীতবস্ত্র বিতরণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

শিবগঞ্জের নামোজগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা আক্ষেপ করে বলেন, গত তিন দিন ধরে শীতের তীব্রতা চরমে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো শীতবস্ত্র আমরা পাইনি। হাড়কাঁপানো এই শীতে অসহায় মানুষগুলো খুব কষ্টে আছে।

তীব্র এই ঠান্ডায় জেলায় সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ শীতকালীন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্থানীয়রা দ্রুত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জোর দাবি জানিয়েছেন।