সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে নিহত এক, উদ্ধার ১৫

সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ দ্যা আটলান্টিক ক্রুজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় জাহাজের ক্রুসহ মোট ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীতে নোঙর করা অবস্থায় জাহাজটিতে আগুন লাগে। যাত্রী তোলার ঠিক আগমুহূর্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সি ক্রুজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দোলন আচার্য্য জানান, অগ্নিকাণ্ডে জাহাজের এক কর্মচারী নিহত হয়েছেন। তবে নিহত কর্মচারীর নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সকাল ৭টার দিকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটক তুলতে ঘাটে ভেড়ার প্রস্তুতির সময় হঠাৎ জাহাজের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং নদীর মোহনায় জাহাজটি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এ সময় স্থানীয়রা ট্রলার ও স্পিডবোটের সাহায্যে জাহাজের ক্রুসহ ১৫ জনকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করলেও চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জাহাজটিতে প্রায় ২০০ জন যাত্রী যাওয়ার কথা থাকলেও দুর্ঘটনার পর ১২০ জনকে বিকল্প তিনটি জাহাজে করে পাঠানো হয়। বাকি যাত্রীরা রোববার সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। এতে দুটি জাহাজ ছাড়তে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।

সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিকেলে জাহাজ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার–সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিদিন পর্যটক পরিবহনে ছয়টি জাহাজ চলাচল করে।