কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত

প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে হিমেল হাওয়ার দাপটে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। কনকনে শীতের ভোগান্তিতে পড়েছে সকল স্তরের মানুষজন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এছাড়া গত ৩ দিন ধরে কুড়িগ্রামের আকাশে মেলেনি সূর্যের দেখা। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘে ঢাকা থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা ভীষণভাবে অনুভূত হতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় কৃষি শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন বিপাকে।

বাস, ট্রাক, নৌকা সময় মত শিডিউল রক্ষা করতে পারছে না। রাস্তায় হেডলাইট দিয়ে ধীর গঠিত চলছে যানবাহন। এদিকে অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষরা ঠিক মতো কাজ করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছে বিপাকে।

শীত নিবারণে অসহায়-দুঃস্থ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত চেষ্টা রেখেছে।

গৃহস্থ ও খামারিরা তাদের পশুগুলোর শীত নিবারণের জন্য চটের বস্তা দিয়ে ঠান্ডা প্রতিরোধ করছেন।

এছাড়া হিমেল বাতাসে শীতের কবলে পড়েছেন জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের হত দরিদ্র মানুষরা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল  চন্দ্র সরকার জানান, ডিসেম্বরের শেষ দিকে কুড়িগ্রাম জেলায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি তীব্র শীতের প্রভাবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। জেলা সদর হাসপাতালসহ নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই বাড়ছে সর্দি–কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকদের মতে, এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে বোরো বীজ তলার ক্ষতি হতে পারে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ অব্যাহত রেখেছি।

সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানান, এ বছর ঠান্ডায় নয়টি উপজেলায় অসহায় মানুষের মাঝে প্রথম পর্যায়ে ২২ হাজার কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।