চট্টগ্রামে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মীর হেলাল

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন। তিনি চট্টগ্রাম-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দিয়েছেন, ওই দিন থেকেই নির্বাচনী মাঠে যে অস্থিতিশীলতা ছিল, সেটি অনেকটা কাটতে শুরু করে। যেদিন উনি দেশে নেমেছেন ওই দিন থেকে সব ধরনের অস্থিতিশীলতা-অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে এবং সুষ্ঠু-সুন্দর একটি নির্বাচন হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দলের ইশতেহারের পাশাপাশি নির্বাচনী আসনের স্থানীয় সমস্যা-সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে আলাদা ইশতেহার দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নূর মোহাম্মদ, জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল ফোরকান, গিয়াস উদ্দীন, সৈয়দ নাছির উদ্দীন, ওয়াহিদুল আলম।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন সংগ্রহ করেন তিনি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাকসুর সাবেক ভিপি এসএম ফজলুল হকের বাসায় যান। ফজলুল হক বাসায় না থাকলেও টেলিফোনে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি (ফজলুল হক) মীর হেলালকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এর পরই জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার সঙ্গে কথা বলেন মীর হেলাল। তিনিও আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আশ্বাস দেন।

সংশোধন করা তফসিল অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।