চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা বাজারে উঠেছে শীতকালীন সবজি
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ
শরীফ উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে শীতকালীন বিভিন্ন তরতাজা সবজিতে বাজার ভরে গেছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কমে এসেছে। নাগালের মধ্যে সব ধরনের সবজি ক্রয় করতে পারায় ক্রেতাদের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে।
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কমে গেছে। তীব্র শীতে সবজিতে রোগবালাই কমে যায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে কৃষকেরা তুলনামূলক কম দামে সবজি বিক্রি করছেন।
বাজারে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলকপি আকার অনুযায়ী ৫-১০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ১৫ টাকা পিস, বেগুন প্রতি কেজি ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি, সিম ১০-১৫ টাকা কেজি, মুলা ২০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজি, গাজর ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম অর্ধেক কমে ৫০-৬০ টাকা কেজি হয়েছে। রসুনের কেজি কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি, পুরাতন আলু ১৫ টাকা কেজি দরে।
লালশাক, পালংশাক, ছোলার শাক ও ধনিয়াপাতার দামও কমেছে। তবে শসা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, পেঁপে, বরবটি, কাঁচকলাসহ কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাছের বাজারও স্বস্তির। পুকুরে চাষ করা মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। তেলাপিয়া ও পোনামাছের দাম ১৭০-১৮০ টাকা থেকে কমে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই, কাতলা, মৃগেল ও সিলভারকার্পের দামও কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। তবে দেশি প্রজাতির মাছ ও পাঙ্গাশের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
বাজারের ক্রেতা মসলেম আলী জানান, “গত কয়েকদিন আগে বাজার করতে এসে টাকা ফুরিয়ে গেলেও ব্যাগ বোঝাই হতো না। এখন সবজির দাম কমে যাওয়ায় ১০০ টাকার মধ্যে পছন্দমতো সবজি কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।”
সজিব হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বাজার করতে এসে খুব ভালো লাগছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় দাম অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। অল্প টাকায় টাটকা সবজি কিনতে পারছি।”
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেড়ে গেছে। এতে দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতারা হাসিমুখে বাজার করছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।
