থার্টি ফার্স্ট নাইট: কক্সবাজারে ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার

১০ পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকি

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

  কক্সবাজার অফিস

থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এর আলোকে জেলা শহরের ১০টি স্থানে তল্লাশি চৌকি ও পুলিশের নজরদারি থাকবে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে কক্সবাজার শহরসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট, টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে বিশেষ নজরদারি রাখতে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগত পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা শহরে ২টি মোবাইল টিম, ৭টি টহল টিম ও ৪টি মোটরসাইকেল টিম মাঠে কাজ করছে।

কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রোবায়েত হোসেন বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে যাতে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে কোনো নিষিদ্ধ বা ক্ষতিকর সামগ্রী বহন করতে না পারে। প্রয়োজনে সন্দেহভাজন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। শহরে প্রবেশ ও বের হওয়া প্রতিটি গাড়ি নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন সেজন্য বাস টার্মিনাল ও পর্যটন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে কক্সবাজারে প্রচুর পর্যটকদের আগমন ঘটবে। সড়ক পথে আগত পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ যাতে স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারে সেই জন্য হাইওয়ে সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, “কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সৈকত, হোটেল জোন, পর্যটন স্পট ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হলে দ্রুত পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।