আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের আইসিটি আইনের মামলা বাতিল
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর ফলে তার মামলা বাতিল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার প্রিয়া আহসান চৌধুরী।
এর আগে ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছিলেন আদালত। ওই মামলা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন শহিদুল আলম।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর ৬ আগস্ট ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারণার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেদিন সিএমএম আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতও শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। পরে ১৫ নভেম্বর হাইকোর্ট এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ওই বছরের ২১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল আলম।
প্রসঙ্গত, ড. শহিদুল আলম একজন আলোকচিত্রশিল্পী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। তিনি দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগজিনের টাইম বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব ২০১৮ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও, দেশ-বিদেশে তিনি অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন।
শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তারের পরে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। গ্রেপ্তারের পরপরই নিঃশর্তে শহিদুলের মুক্তির দাবিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডার্সের মত দেশি বিদেশি ২৪টি সংস্থা বিবৃতি দেয়। এছাড়া শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি সংবলিত এক বিবৃতিতে ১১ জন নোবেল বিজয়ী ও ১৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক সই করেন।
