তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ফের আপিল শুনানি ২ নভেম্বর

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৩২ | অনলাইন সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে করা আপিলের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। 

বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।

এদিন শুনানিতে বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা জামায়াতে ইসলামী প্রথম উপস্থাপন করেছে। এরপর আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উপস্থাপন করে। পরে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়।

আরেক রিভিউ আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএসএম শাহরিয়ার কবির।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরপর গত ২২, ২৩ ও ২৮ অক্টোবর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন– তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। এছাড়াও নওগাঁর এক ব্যক্তি আরেকটি আবেদন করেন।