আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক

চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৬তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এদিন প্রথমে সাক্ষ্য দেন সানি মৃধা। তিনি জানান, গণঅভ্যুত্থানের সময় তার পায়ে পাঁচটি গুলি লেগেছিল। সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি ওই ঘটনার দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। পরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে গতকাল বুধবার মামলার ২০তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করে।
এরও আগে, গত ২১ অক্টোবর আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত ও শহিদ বায়োজিদ বোস্তামীর ভাই কারিমুল। পরে তাদের জেরা করে স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবী।
সবমিলিয়ে আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৮ জন। সবশেষ বুধবার আরও দুইজন সাক্ষীর জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে।
গত ২১ আগস্ট এ মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ মোট এ মামলার মোট আসামি ১৬ জন, তাদের মধ্যে ৮ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। এর মধ্যে শেখ আবজালুল হক ইতোমধ্যেই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী (রাজসাক্ষী) হয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে আগামী বুধবার সকালেই ওই ৮ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে ছয় তরুণ প্রাণ হারান। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাদের মরদেহ পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস ওই ঘটনার সময় একজন তরুণ তখনও জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও রক্ষা করা হয়নি—পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়।
