সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর জামিন

রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান আসামিদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

এই আদেশের ফলে লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল ও আল আমিন হোসেন। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল গণমাধ্যমকে বলেন, জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট শাহবাগ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

অন্য আসামিরা হলেন— মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন (৭৩), মঞ্জুরুল আলম (৪৯), কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল (৭২), গোলাম মোস্তফা (৮১), মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৬৪), মো. জাকির হোসেন (৭৪), মো. তৌছিফুল বারী খাঁন (৭২), মো. আমির হোসেন সুমন (৩৭), মো. আল আমিন (৪০), মো. নাজমুল আহসান (৩৫), সৈয়দ শাহেদ হাসান (৩৬), মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (৬৪), দেওয়ান মোহম্মদ আলী (৫০) ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম (৬১)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকী সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং উপস্থিতদের উসকানি দেন। পরে বৈঠকে উপস্থিতদের মধ্যে থেকে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।