রামপুরায় ২৮ হত্যা:
লে. কর্নেল. রেদোয়ানুলসহ চারজনের অভিযোগ গঠনের শুনানি ৪ ডিসেম্বর
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার বিজিবির সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
সেই সঙ্গে এই মামলায় পলাতক দুই আসামির জন্য একজন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের আদেশ দেন। পলাতক আসামিরা হলেন– ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। এসময় অনান্য প্রসিকিউটর এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সকালে ঢাকা সেনানিবাসে স্থাপিত সাময়িক কারাগার থেকে বিশেষ প্রিজন ভ্যানে করে আসামি দুই সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুনকে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। এসময় ট্রাইব্যুনাল ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।
এছাড়া ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণজুড়ে সেনা, পুলিশ, র্যাব, বিজিবির সদস্যদের বিপুল সংখ্যক উপস্থিতি দেখা যায়।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর জুলাই গণঅভুত্থানের সময় রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
এরপর গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ান ও রাফাতকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শেষে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ঠিক করা হয়। তবে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের দিন (২৪ নভেম্বর) ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। রাজধানীর রামপুরায় এই সময় নিহত হন ২৮ জন এবং আরও অনেক ব্যক্তি আহত হন। রামপুরা ঘটনায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুলকে আন্দোলনকারীদের দিকে সরাসরি গুলি চালাতে দেখা যায়। এছাড়া এই মামলায় অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধেও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
