হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় ফয়সালের সহযোগী কবিরকে ৭ দিনের রিমান্ড
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে ডিএমপির মতিঝিল জোনাল টিমের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কবিরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলেও শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে পুলিশ জানায়, গ্রেফতার কবির মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ঘটনার আগে ও পরে আসামিদের আত্মগোপনে সহায়তা, হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা এবং আসামিদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার কাজে তার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশের দাবি, কবিরকে রিমান্ডে নিলে হত্যাচেষ্টার পূর্বপরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক অন্যান্য আসামিদের পরিচয় ও অবস্থান, ব্যবহৃত অগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধারের সূত্র এবং অর্থের জোগান ও মদতদাতাদের পরিচয় উদঘাটন সম্ভব হবে।
রিমান্ড আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক প্রার্থী ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি, নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যেই এই হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আরও গ্রেফতার ও রিমান্ড আবেদন হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজ শেষে পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি চালানো হয়। এতে তিনি মাথা ও কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে বিদেশে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকা থেকে র্যাব-১১ কবিরকে আটক করে। কবিরের বাড়ি পটুয়াখালীর সদর উপজেলায়। তার বাবার নাম মৃত মোজাফফর।
