হাদিকে গুলি: আদালতে জবানবন্দিতে যা বললেন ফয়সালের মা-বাবা
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোছা. হাসি বেগম (৬০)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারকের খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের বাবা-মা আদালতকে বলেছেন, আসামিদের পালাতে ও অস্ত্র লুকাতে তারা সাহায্য করেছেন। এরপর জবানবন্দী শেষে তাদের কারাগারে পাঠিনোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে বিকেলে শুটার ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) এবং মা মোছা. হাসি বেগমকে (৬০) আদলতে হাজির করে পুলিশ। পরে বিচারকের খাসকামরায় নেয়া হয় তাদের। গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০। পরে তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, চার সন্তানের মধ্যে শুটার ফয়সাল তৃতীয়। তিনি রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন রাতে ফয়সাল একটি ব্যাগ নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন। পরে বাসার চিপা দিয়ে কালো ব্যাগটি ফেলে দেন এবং ভাগনে জামিল (১৮) দিয়ে সেটি আবার নিয়ে আসেন। নিজের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি তিনি ওই বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তাঁর মা হাসি বেগমকে দেন।
এরপর বাবা–মার সঙ্গে দেখা করে ফয়সাল। সেখানে নিজের অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে পরে শাহজাদপুরে তাঁর ভাতিজা আরিফের বাসায় যান। শুটার ফয়সালের ব্যাগ নিয়ে তাঁর বাবা মো. হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি ভাড়া করে দেন এবং সঙ্গে কিছু টাকাও দেন। পরে আসামিরা ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবলু ওরফে রাজের কেরানীগঞ্জের বাসায় যান এবং জুরাইন থেকে দুটি মোবাইল সিম কিনে ব্যবহার করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল করে আসা দুজনের একজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
আবা/এসআর/২৫
