হাসিনা-কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎস ভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই চুক্তি সম্পাদন করা হয়। সিএনএস লিমিটেডকে টাকার অংকে নয়, বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে (ভ্যাট ও আইটি ব্যতীত) কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে। অথচ ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে খরচ হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে দুদক গত ১২ অক্টোবর শেখ হাসিনা ও অন্যান্য ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
আবেদনে বলা হয়, মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা দেশত্যাগ করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এতে মামলার তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, তাদেরকে বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
