রামপুরায় ২৮ হত্যা: বিজিবির রেদোয়ানুলসহ ৪ জনের বিচার শুরুর আদেশ

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করে এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে আসামিদের পক্ষে দায়মুক্তির (ডিসচার্জ) আবেদন করা হলে ট্রাইব্যুনাল তা খারিজ করে দেন। ফলে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করার পথ খুলে যায়।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান ও সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। অপরদিকে গ্রেপ্তার দুই আসামির পক্ষে আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী মো. আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

রেদোয়ানুল ইসলামের সঙ্গে গ্রেপ্তার অপর আসামি হলেন বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। বুধবার সকালে ঢাকার সেনানিবাসের সাব-জেল থেকে প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এ মামলায় এখনও পলাতক রয়েছেন ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।

এর আগে ৬ ডিসেম্বর ফরমাল চার্জের ওপর শুনানি শেষ হয়। ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ান ও রাফাতকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরা এলাকায় ২৮ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন। রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলকে আন্দোলনকারীদের দিকে সরাসরি গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এছাড়া অন্যরাও অংশ নিয়েছিলেন এ হত্যাযজ্ঞে। তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়।