পীরগঞ্জে দাদিকে হত্যার ঘটনায় নাতি গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জে দাদিকে হত্যার ঘটনায় নাতি অনিক হাসান হৃদয় (২০)-কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
রোববার গভীর রাতে ঢাকা সাভারের হেমায়েতপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত অনিক বড়ঘোলা গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে।
তার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে বড়মজিদপুরের রফিকুলের পরিত্যক্ত রাইচ মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোররাতে উপজেলার বড়মজিদপুর থেকে আকলিমা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত বৃদ্ধা আকলিমা বেগম ওই গ্রামের আব্দুল হাকিম মিয়ার স্ত্রী। ওই দিনই অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহতের ভাই রায়পুর ইউপির নখারপাড়ার ওবায়দুল হত্যা মামলা রুজু করেন।
স্বজনরা জানান, ওই গ্রামে স্বামী-স্ত্রী দুজনে পৃথক ঘরে রাত্রিযাপন করতেন। শনিবার ভোর রাতের দিকে নিহতের স্বামী আব্দুল হাকিম প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাহিরে আসলে স্ত্রীর ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। তিনি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে গলা কাটা অবস্থায় স্ত্রীর নিথর দেহ খাটের উপরে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে দুই ছেলে রাশেদুল ও শাহিন ছুটে আসেন। পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
নিহতের দুই ছেলে রাশেদুল ও শাহিন জানান, তারা রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় ঘোলা গ্রামের বাসিন্দা। ৮/১০ বছর আগে বড় মজিদপুরে পৃথক বাড়ি নির্মাণ করে বাবা-মা সেখানে বসবাস করেন। আমরা বাস্তুভিটা বড়ঘোলায় দুই ভাই বসবাস করি। ছোট বোন পারভিন আক্তার বৈবাহিক সূত্রে স্বামীর বাড়ি পীরগঞ্জ সদরের রামপুরায় থাকে। কারো সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। বাবা-মা ছাড়া ওই বাড়িতে কেউ থাকে না।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় নিহত আকলিমা বেগমের নাতি, বড় ছেলে রাশেদুল ইসলামের ছেলে। হৃদয় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনযোগে খেজমতপুরে নেমে পড়ে। রাতেই দাদা-দাদীর গ্রামে আসে। দাদি আকলিমার সাথে রাতের খাবারের পর খোশগল্পের এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়লে দাদিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
