ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রিফাত বাহিনীর প্রধান আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গুলিতে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রিফাত বাহিনীর প্রধান রিফাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯ (সিপিসি-১)।

সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোরে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচরের খোসকান্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি অবৈধ বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৭ রাউন্ড তাজা বুলেট উদ্ধারসহ রিফাতের সহযোগী লিমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রিফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকসহ ৬টি মামলা রয়েছে। সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৈরতলাস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৯ (সিপিসি-১) এর কমান্ডার মো. নুরনবী।

এ সময় তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামের গণিশাহ মাজারের আধিপত্য নিয়ে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত বাহিনী ও নুরজাহানপুর গ্রামের মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১ নভেম্বর গণিশাহ মাজারের পাশে একটি হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় শিপনের উপর গুলি চালায় রিফাতসহ তার বাহিনী। এসময় শিপন এবং হোটেল কর্মচারী ইয়াছিন ও নূর আলম নামে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। সেদিন রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যায় শিপন। পরে (৩ নভেম্বর) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনেরও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিপন বাহিনীর হামলায় এমরান মাষ্টার নামে আরো এক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রয়েছে। 

ঘটনার পর থেকে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি এলাকায় র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৮টি পাইপগানসহ ৪৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে রিফাতকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী লিমানকে নবীনগর উপজেলার থোল্লাকিন্দ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার ঘর থেকে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৭ রাউন্ড তাঁজা বুলেট উদ্ধার করে র‌্যাব। লিমান ওই গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব আরো জানায়, এ ঘটনায় অন্যান্য আসামি ও অস্ত্র উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।