৪ মাসেও পরিবর্তন হয়নি নামফলক; ইবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ২০:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পরিবারের নামে থাকা চারটি আবাসিক হল ও একটি একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে চার মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন নামফলক স্থাপন করেনি কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা ও উদাসীনতার অভিযোগ করেন তারা।

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শাহ আজিজুর রহমান’ হল, শেখ রাসেল হলের পরিবর্তে ‘শহীদ আনাছ’ হল, ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা’ হল, শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬’ হল রাখা হয়েছে। এছাড়া ‘ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন’ এর পরিবর্তে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবন’।

এদিকে সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, প্রজ্ঞাপন জারির পর সংশ্লিষ্ট হল ও ভবনগুলোর মূল ফটকে নতুন নামযুক্ত অস্থায়ী ব্যানার লাগানো হয়। এগুলোর অনেকগুলোর অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ফলে এখনো আগের নামই বিদ্যমান। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কার্যক্রমেও পূর্ববর্তী নামগুলোই ব্যবহৃত হচ্ছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষার্থী বলেন, এদেশ থেকে ফ্যাসিস্ট বিদায় হয়েছে এক বছর হলো, স্থাপনার নাম পরিবর্তনের চার মাস পেড়িয়ে গেছে। কিন্তু এখনো পরিবর্তিত স্থাপনার নামফলকগুলো পরিবর্তন হয়নি। প্রশাসনের অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য এই নামফলকগুলো এখনো পরিবর্তন হয়নি বলে আমরা মনে করছি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পার হয়ে গেলেও শেখ পরিবারের নামে থাকা স্থাপনার নাম এখনো দৃশ্যমান। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যে যে ভবনগুলোর নাম পরিবর্তন হয়েছে দ্রুত সময়ের ভেতরে এই নামগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা এই ছোট কাজগুলো যদি করতে না পারি তাহলে বড় কাজগুলো কীভাবে করবো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে আমার আহ্বান, এগুলো দ্রুত সংশোধন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. গফুর গাজি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন করে দিয়েছেন এখন এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব হল প্রভোস্টদের উপর বর্তায়। শুধু হলের নাম না, হলের ভেতরে নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন লেখা এখনো দেখা যাচ্ছে এগুলোর প্রতিও নজর দিতে হবে। পরবর্তী প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে আমি বিষয়টি উত্থাপন করবো এবং সকল প্রবস্তুদের এ বিষয়ে অনুরোধ করবো।