রাবিতে পোষ্যকোটা ইস্যুতে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩২ | অনলাইন সংস্করণ

  রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্যকোটা পুনর্বহালসহ প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দফা দাবিতে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অপরদিকে পোষ্যকোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এবং শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম রেজা বলেন, ‘পোষ্যকোটা একটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে বহু আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বয়ং উপাচার্যেরও এখতিয়ার নেই এই কোটা পুনর্বহাল করার। যারা পোষ্যকোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা হিসেবে দেখাতে চাইছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই—পুরোনো বোতলে নতুন মদ বাজারজাত করার পাঁয়তারা কোনোভাবেই সফল হবে না।’

এ সময় সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী সজিব বলেন, ‘পোষ্যকোটা নিয়ে বিতর্কের আর কোনো অবকাশ নেই। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই অন্যায় দাবি কি রাকসু নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনার অংশ কিনা তা ভাবার বিষয়। বহু আগেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। তাই যাঁরা পোষ্যকোটার নামে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিতে চাইছেন, তাঁদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবেই। সামনে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন ঘিরে যদি কেউ কোনো ধরনের সহিংসতা করার চেষ্টা করে, তবে শিক্ষার্থীরা সেই চেষ্টা সফল হতে দেবে না।’

অপরদিকে কর্মবিরতি বিষয়ে অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আজকের ধর্মঘট আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বহু বছর ধরে পাওয়া প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কেউ যদি মনে করেন আমাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করা যাবে, তবে তাঁরা আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দ্রুত ফিরিয়ে দিতে হবে, নইলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’