ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৯:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

গত জুলাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহকে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাখা ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। একই ঘটনায় দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন বিভাগের আটজন শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৭ আগস্ট) পৌনে ২টায় অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে; বিচার বিচার বিচার চাই, সাজিদ হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সংগঠনটির আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ'র নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, সদস্য রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিনসহ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তাদির রহমান, ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক উল্লাস হোসাইন ও শতাধিক নেতা-কর্মী।
সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সাজিদ আব্দুল্লাহর নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এখনও সম্পন্ন হয়নি এবং প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করা যায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যদি সাজিদ হত্যার বিচার না হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেবে। অতীতের ১৭ জন ফ্যাসিবাদী শিক্ষক-কর্মচারীর পাশাপাশি আরও অনেকের বিচার হওয়া উচিত, যারা সেই সময়ে ছাত্রদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রশাসন যদি অবিলম্বে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের বহিষ্কার করে আইনের আওতায় না আনে, তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও বড় পরিসরে আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
শাহেদ আহম্মেদ আরও বলেন, ‘সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত ও খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত ও গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা আশা করি প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবেন।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে প্রশাসন ভবন ও প্রধান ফটক অবরোধ করে কয়েক দফা আন্দোলন করেছেন।
