বেরোবির সেই আওয়ামী পন্থী শিক্ষককে অব্যাহতির দাবি
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বেরোবি প্রতিনিধি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সক্রিয় সদস্য মীর তামান্না সিদ্দিকাকে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে বিরত রাখতে প্রক্টরের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন তারই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা ও অ্যাকাডেমিক ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আবেদন দাখিল করেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান নিশ্চিত করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র উপদেষ্টা ও রেজিস্ট্রার বরাবর বেশ কয়েকটি অভিযোগ করা হলে উল্টো শিক্ষার্থীদের উপর চাপ ও হুমকি আসতে থাকে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, প্রায় চার মাস আগে বিভাগের সেশনজট সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে অভিযোগপত্র রেজিস্ট্রার এবং ছাত্র-উপদেষ্টা নিকট জমা দেন। কিন্তু সেই অভিযোগপত্র প্রশাসন থেকে ফাঁস হয়ে তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান মীর তামান্না সিদ্দিকার হাতে পৌঁছে যায়।
এরপর তিনি অভিযোগকারীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন, রেজাল্ট খারাপ করিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে চাকরির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিষয়টি উপাচার্যকে জানালে তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দেন। উপাচার্য মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি দেন যে, এ শিক্ষক অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের ব্যাচে আর কোনো দায়িত্বে থাকবেন না। তবে কিছু মাস পর আবার ওই শিক্ষককে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হলে শিক্ষার্থীরা আবারও শিক্ষা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে ৩.০০-এর নিচে গ্রেড দিয়েছেন এবং অনেককে ফেল করিয়েছেন।
খোঁজে জানা গেছে, মীর তামান্না সিদ্দিকা আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সক্রিয় কর্মী এবং আওয়ামী আমলে প্রক্টর ও মেয়েদের একমাত্র হল ফেলানী হলের (সাবেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল) প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন, অভিযোগ দিয়ে বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছি। এপ্রিলে করা অভিযোগ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক আরও চড়াও হয়েছেন। এখন আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, অভিযোগ ফাঁস হওয়ার পর ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতকাল যে আবেদন এসেছে, সেটি দেখে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
