নতুন গবেষণা নীতি চেয়ে ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  ইবি প্রতিনিধি

নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়নসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদ।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি।

এ সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার সাথে সমন্বয় করে গবেষণা নীতিতে সিজিপিএ ৩.০০ নির্ধারণের দাবি জানান। পাশাপাশি আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দাবিগুলোর দৃশ্যমান রূপরেখা বা পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংগঠনটির পেশকৃত দাবিগুলো হলো— পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার সাথে সমন্বয় করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করা এবং বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতি বাতিল করে পুনরায় এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির সুযোগ দেওয়া।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম, সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহ-সভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসানসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

সভাপতি নূর আলম বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গবেষণায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে ন্যূনতম ৩.৫০ সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার সুস্পষ্ট নীলনকশা।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা ন্যূনতম ৩.০০ এবং অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৩.২৫ রাখা হয়েছে। অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অযৌক্তিকভাবে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি গবেষণার ক্ষেত্রকে সীমিত করে শিক্ষার্থীদের ওপর বৈষম্য চাপিয়ে দেওয়ার শামিল।

মানববন্ধন শেষে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতার মানদণ্ডে সিজিপিএ কমানোর জন্য আমরা ইতোমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করেছি। তারা কাজ করছে। অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের জন্যও আমাদের প্রক্রিয়া চলছে। দাবিগুলো যৌক্তিক, বাস্তবায়নে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’