রানীক্ষেত ভাইরাস প্রতিরোধ ভ্যাকসিন উৎপাদনে রাবিতে সেমিনার
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে রানীক্ষেত ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উৎপাদন নিয়ে ‘রানীক্ষেত রোগের টেকসই নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে বাংলাদেশে গ্রামীণ মুরগির উৎপাদন উন্নতকরণের জন্য অংশগ্রহণমূলক কর্ম গবেষণা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ গ্যালারিতে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মইজুর রহমানের সভাপতিত্বে গবেষণা প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক শশি আহমেদ মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি প্রকল্পের বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন।
অধ্যাপক শশি আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদনের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়েছে কৃষি অনুষদের আই-টু এনডি ভ্যাকসিন ল্যাবরেটরিতে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় উৎপাদিত ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের কৃষি ও খামার খাত নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো রানীক্ষেত ভাইরাস, যা একবার সংক্রমিত হলে একটি খামারের সব মুরগি ধ্বংস করে দিতে পারে। ফলে খামারিরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির শিকার হন। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় গবেষকরা নিরলস পরিশ্রম করে একটি নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন। এ ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে শুধু খামার খাত নয়, দেশের অর্থনীতিও সুরক্ষিত হবে।
ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কেএম মোজাফফর হোসেন বলেন, রানীক্ষেত ভাইরাস খামারিদের জন্য ভয়াবহ সমস্যা। আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছি। এর আগে যে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হতো, সেটি কার্যকর ছিল। তবে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে তা অনেক সময় কার্যকারিতা হারাত। বর্তমানে উৎপাদিত ভ্যাকসিন যথাযথভাবে সফল হয়েছে এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে সমস্যার সমাধান হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। তিনি বলেন, “রানীক্ষেত ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ, যা খামারের সব প্রাণী ধ্বংস করতে পারে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ খামার উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। নতুন এই ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে খামার খাত রক্ষা পাবে। গবেষক ও প্রকল্প দলের প্রতি আমি ধন্যবাদ জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।”
