রেজাল্ট না দেওয়ায় আরবী বিভাগে ফের তালা দিল শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

  রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আরবী বিভাগের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস পার হলেও ফলাফল প্রকাশ না করায় দ্বিতীয় বারের মতো অফিসরুমে তালা দিয়েছে বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিভাগের অফিস ও গেটে তালা দেন। পরে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ২৮ আগস্টের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশের আশ্বাসে তালা খোলেন তারা। তবে নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নেমেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রেজাল্ট না থাকায় তারা চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না, পাশাপাশি চাকরির বিভিন্ন সার্কুলারেও আবেদন করতে পারছেন না।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রেজাল্ট নিয়ে শিক্ষকরা শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। এর আগেও বারবার মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনো ফলাফল প্রকাশ হয়নি। একাধিকবার নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়ার পরও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। রেজাল্ট নিয়ে কালকে বসব। দিন-রাত খেটেও হলেও এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা রেজাল্ট দিতে পারব বলে আশা করছি।

আরবী বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা কমিটির শিক্ষকরা দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমিও বলেছি। এ সপ্তাহের মধ্যেই রেজাল্ট হবে। ভবিষ্যতে আর দেরি হলে আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে শোকজ করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল ইসলাম মাসঊদ বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। আগে দেখে তারপর বলতে পারব।’ সাংবাদিকদের আগের একাধিক ফোন কলেও তিনি একইভাবে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘এক-দুইজন পরীক্ষক খাতা জমা না দেওয়ায় রেজাল্টে দেরি হচ্ছে। একজন খাতা জমা না দিলেই পুরো ফলাফল আটকে যায়। সাধারণত বিভাগীয় বিষয়গুলো আমরা দেখি না, পরীক্ষা কমিটিই তা দেখে। তবে কারও গাফিলতিতে অচলাবস্থা তৈরি হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’