ডাকসু নির্বাচনে সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন: ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। ১১ মাসের প্রস্তুতি, শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা এবং নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। ডাকসুকে ঘিরে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, ভলান্টিয়ার টিমসহ সবাই মাঠে রয়েছে। তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।’

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ বলেন, এবারের ডাকসু নির্বাচন তিনটি কারণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি, যা ক্রমে জাতীয় দাবিতে রূপ নিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ডাকসুর সক্রিয়তা সরাসরি সম্পর্কিত। পাশাপাশি, এই নির্বাচন বিভিন্ন অংশীজনকে একত্রিত করেছে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।

উপাচার্য জানান, এবারের নির্বাচন নানা দিক থেকে ব্যতিক্রমী। চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থী একসঙ্গে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, যা ইতিহাসে প্রথম। এবার বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১০-এ, যেখানে অতীতে ছিল মাত্র ২০০ থেকে ২৫০টি বুথ। একই সঙ্গে এবার দায়িত্বে আছেন সর্বজনস্বীকৃত শিক্ষকেরা, যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। প্রার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্রের ফলাফল সরাসরি ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হবে।

প্রার্থীদের উদ্দেশে ভিসি বলেন, ‘ডাকসু একটি জটিল প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার পর থেকে মাত্র আটবার এই নির্বাচন হয়েছে। প্রশাসন অনেক সময় এমন আয়োজন করতে আগ্রহী থাকে না। তবে আপনারা জিতুন বা হারুন, সেটিই হবে বড় অবদান। সহনশীল হোন, সংঘাত এড়ান। যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’