ইবি সহ-সমন্বয়কের ফেসবুক গ্রুপ দখলের চেষ্টা

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ

  ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহনভিত্তিক জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক সহ-সমন্বয়কের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক প্যানেলের কেউ নন বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট।

অভিযোগ উঠেছে, রাকিবুল পরিবহন প্রশাসকের কাছে গিয়ে গ্রুপের বর্তমান অ্যাডমিনকে ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘ছাত্রলীগ’ সংশ্লিষ্ট আখ্যা দিয়ে সরানোর দাবি জানান। 
সোমবার বিকেল ৪টায় আল-ফিকহ অ্যান্ড ল’ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল সজিবকে সঙ্গে নিয়ে আবারও প্রশাসকের কাছে দেখা করে একই দাবি জানান তিনি।

এ ঘটনায় বিকেলেই গ্রুপের অ্যাডমিন ঘোষণা দিয়ে *ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি*র যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। তার দাবি, পরিবহন প্রশাসকের নির্দেশক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

জানা যায়, ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী খালেকুজ্জামান অবসান দীর্ঘদিন ধরে গ্রুপ, ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রাম বট পরিচালনা করে আসছিলেন। যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সময়সূচি ও অন্যান্য সেবা পেয়ে থাকেন। কয়েকদিন আগে এক পোস্টে রাকিবুলের সঙ্গে অ্যাডমিনের কথা কাটাকাটির পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। রবিউল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, পেজটির অ্যাডমিন দীর্ঘদিন সময়োপযোগী সেবা দিয়ে এসেছেন। তাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অপর শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান লেখেন, ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি নিয়ে যারা নোংরা রাজনীতি করছেন, তাদের মুখে থুথু।

অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি সরাসরি অবসানকে ছাত্রলীগ বলিনি। তবে তার বিরুদ্ধে পরিবহন কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন। আমি শুধু প্রশাসকের কাছে জানিয়েছি, প্রয়োজন হলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যায়।

অন্যদিকে অ্যাডমিন খালেকুজ্জামান অবসান বলেন, আমার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য কাজ করেছি। প্রশাসকের পরামর্শেই গ্রুপ বন্ধ করেছি।

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ বলেন, অভিযোগ শুনে আমি অ্যাডমিনকে জানিয়েছিলাম। তবে তাকে পদ ছাড়তে কোনো চাপ দিইনি। রাকিবুল নতুন কাউকে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল বটে, তবে আমি বলেছি—অবসান দক্ষ লোক।